ছবি: সংগৃহীত
আজ আর কোন বানী লিখব না। আজ লিখব নারী নিয়ে। নারী বলতে পৃথিবীর অন্যতম প্রাণী মানুষের পুরুষ, নর প্রভৃতির বিপরীত স্ত্রী, মহিলা, মেয়ে প্রভৃতি কে বোঝানো হয়। তবে আমি নারীর সৃষ্টি, নারীর অধীকার বা নরীর সমস্যা, নরী নিয়ে সমাজের ধারণা এসব নিয়ে কিছু লিখব না। এ সব নিয়ে আনেকে লিখেছেন। তবে আমি একটা পুরুষ হয়ে কী লিখব এটা ভাবছেনতো?
পুরুষের জীবনে নারীর গুরুত্ব নিয়ে।
তবে শুরু করছি সমাজ নারীদের কিচোখে দেখে তা সমরেশ মজুমদারের ‘মনের মতো মন’ উপন্যাস থেকে ছোট্ট একটা কাহিনী উল্লেখ করে। উপন্যাসের নায়িকা আহির আর নায়ক স্বপ্নাশীষ। আহিরের ইউটেরাস ও ব্রেস্টে টিউমার ধরা পড়ে। তো হাসপাতালে যখন আহিরকে ভর্তি করানো হলো এবং অপারেশানের দিন স্বপ্নাশীষ আহিরের কাছে যেয়ে বলে, “আহির, তোমার আজ অপারেশন।”
তবে শুরু করছি সমাজ নারীদের কিচোখে দেখে তা সমরেশ মজুমদারের ‘মনের মতো মন’ উপন্যাস থেকে ছোট্ট একটা কাহিনী উল্লেখ করে। উপন্যাসের নায়িকা আহির আর নায়ক স্বপ্নাশীষ। আহিরের ইউটেরাস ও ব্রেস্টে টিউমার ধরা পড়ে। তো হাসপাতালে যখন আহিরকে ভর্তি করানো হলো এবং অপারেশানের দিন স্বপ্নাশীষ আহিরের কাছে যেয়ে বলে, “আহির, তোমার আজ অপারেশন।”
“শুনেছ?"
"আমার সব বাদ দেবেন ডাক্তার।”
“সব! সব কি বাদ দেওয়া যায়?”
“পুরুষরা তো মেয়েদের সর্বস্ব বলতে এই বোঝে।”
অর্থাৎ সমাজ নারী বলতে মানুষ বোঝে না। বোঝে শুধু একটা জরায়ু, একজোড়া স্তন।
নারী যে এর থেকেও বেশি কিছু সেটা সমাজ বুঝতে পারবে না কখন ও হয়তো।
আসলে নারীর শুধু যৌনতা বা ভোগের অংশ নয় সেটা আমরা পুরুষেরা বুঝেও বুঝিনা। আসলে আমরা পুরুষ বুঝলাম না নারীর শক্তি। বা বুুুঝে হয়তো ভয় পেয়ে ইচ্ছে করে দমিয়ে রেখেছি।
তবে শুরু তেই বলে রাখি আমার কাছে নারী - পুরুষ সমান নয়। আর কখন ও হবে না। এটা বিধাতার সৃষ্টি। শুধু মানব জীবন না সমস্ত প্রাণীর মধ্যে আছে এই বিভেদ। যেমন বাবা আর মা কখন ও এক হয় না।
নারী হল সর্বশক্তিমান। সৃষ্টির আদিকাল থেকে তা প্রমাণিত। একটি নারী পারে সৃষ্টি করতে আর ধ্বংস করতে। পুরুষের সে খমতা নেই। কিন্তু আমরা পুরুষেরা তা শিকার করতে চাই না। আমরা পুরুষেরা বুঝতে চাই না নারীই মানুষের ভবিষ্যতের জন্মদায়িনী।
একটি পুরুষের জীবন শুরুই হয় একটা নারীর কাছ থেকে, মানে মা এর কাছে। পুরুষটি বড় হওয়ার সাথে সাথে তার জীবনে অনেক নারী আসতে থাকে। কিন্তু নারীর জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি পুরুষের সে রকম প্রয়োজন নেই।
নারী - পুরুষ হল স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণের মত। নারী হল স্বরবর্ণ আর পুরুষ ব্যঞ্জনবর্ণ।
আগেই বলেছি পুরুষের জন্ম এবং পথ চলা একটি নারীর হাত ধরে, তার পর বর হওয়ার সাথে সাথে আসে প্রেম মানে নতুন এক নারী। তার পর সব ঠিক থাকলে বিয়ে এবং ভালো একটা জীবন।
যাক ওন্য দিকে যাওয়ার আগে বলি অনেকে বলে নারীদে নাকি কোন নিজের ঘর হায় না।
আসলে
নারীরা নিজেই ঘর তৈরি করে। নারী হল লক্ষী। লক্ষী যেখানে থাকে সেখানে ঘর
হয় পরিবার হয়, সেখানে পুরুষ থাকুক বা নাই থাকুক। নারী কি? জিগাসা করুন
তাদের, যে পরিবারে কোন নারী নেই।আগেই বলেছি পুরুষের জন্ম এবং পথ চলা একটি নারীর হাত ধরে, তার পর বর হওয়ার সাথে সাথে আসে প্রেম মানে নতুন এক নারী। তার পর সব ঠিক থাকলে বিয়ে এবং ভালো একটা জীবন।
এতোগেল একটা পুরুষের সাভাবিক ভালো জীবন।
নারী যেমন ভালোবেসে পুরুষকে রক্ষা করে, খারাপ থেকে ভালো করতে পারে, ঠিক তেমন রেগে গেলে নিমেসে পুরুষকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
নারী পুরুষের রক্ষাকর্তা। তাই তো আজ ও দূর্গা পূজা হয়।
শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন যেখানে নারীর পুজো হয়, সেখানে দেবতা বাস করে।
পুরুষের জীবনে নারীর গুরুত্ব কতটা সেটা একমাত্র পুরুষই জানে। একটা পুরুষের আসা, ভালোবাসা, স্বপ্ন, অপেখা একটা নারীর জন্য। তাই পুরুষরা নারীদের হারাতে ভয় পায়। তাই হয়তো নারীদের ওই ভাবে আটকে রাখে।
ছবি - সম্পৃতা
তথ্যসূত্র-
- সমরেশ মজুমদার, মনের মতো মন
0 মন্তব্যসমূহ
Comment