বন্ধুত্বের সে কাল এ কাল




বন্ধুত্ব কী ? ছোটবেলা থেকে শুনছি বিপদে যে পাশে থাকে সেই বন্ধু। তবে বন্ধুরা যে সব সময় বিপদ থেকে উদ্ধার করে তা নয় তারা বিপদএ ফেলে। কিন্তু কিছু মানুষ বিপদে পাশে থাকুক বা না থাকুক  সব সময় বন্ধু থাকেই। তবে তোমরা ভাবছো যে প্রথম থেকে এত বিপদ বিপদ করছে কেন বন্ধুত্ব  নিয়ে। তার মানে কি এ বন্ধুত্ব নিয়ে অনেক বিপদে পড়েছে? না না বন্ধুত্ব করে কখনো বিপদে পরিনি। আমি বা আমাদের সময় এর মানুষরা একটু ভাগ্যবান যে আমাদের সময় আর এখন কার সময় মানে ডিজিটাল বন্ধুত্ব দুটোই পেয়েছি। তবে যে রকমই বন্ধুত্ব হোক না কেন বন্ধুত্ব আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছদ্য অঙ্গ, বন্ধু ছাড়া আমাদের জীবন মাছ ছাড়া বাঙ্গালীর মত। বন্ধুত্ব এমন একটি সম্পর্ক যা সারাজীবন প্রয়োজন হয়। আসলে বন্ধুত্ব ছাড়া কোনো সম্পর্ক সম্ভব নয়। তাই তো অঞ্জন দত্ত  বলেছেন.....

“বন্ধুত্ত্বের হয়না পদবি
বন্ধু তুমি কেঁদো না
বন্ধু সবুজ চিরদিন
বন্ধুত্ত্বের বয়স বাড়ে না
বন্ধু তোমার আমি তাই
আত্মীয়তায় বেধোঁনা
কেঁদো না!”




তবে বন্ধুত্বের ধরন যেভাবে পাল্টে যাচ্ছে তাতে সম্পর্ক গুলো কতো তা মজবুত তা ভাববার বিষয়। আমরা বাস্তব সম্পর্ক ছেড়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুত্বের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছি। আজ আমরা পাশের বাড়িতেও বন্ধুত্ব করি সোশ্যাল মিডিয়াতে। রাস্তায় দেখা হলেও কথা বলি না কিন্তু আমরা বন্ধু। আমরা আমাদের সময় বিকালএ বা সময় পেলে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতাম বা খেলা করতাম। এখনো হয় কিন্তু অন্য ভাবে। এখন দেখি সব বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিছে কিন্তু কেউ কারুর সাথে কথা নেই ,সবাই ব্যাস্ত দূরের আর কাল্পনিক বন্ধুত্ব নিয়ে। পাশে থাকা বন্ধুদের দিকে কোন খেয়াল নেই। সেই মাঠে খেলা, ঝগড়া ,মারপিট এখন কিছুই হয় না। এখন যা হয় মুঠোফোনের মাধ্যমে। এই সব দেখে শুনে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি আর সেই সময় গুলোকে ফিরে পেতে ইচ্ছে করে তার সঙ্গে  চন্দ্রবিন্দুর একটা গান মনে পরে যায়...


“ছেড়া ঘুড়ি রঙ্গিন বল
এই টুকুই সম্বল
আর ছিল রোদ্দুর এ পাওয়া বিকেল বেলা
বাজে বকা রাত্রি দিন
এস্টেরিক্স টিনটিন
এলোমেলো কথা উড়ে যেত
হাসির ঠেলায়
বন্ধু তোমায় এ গান শোনাব
বিকেল বেলায়
আরেকবার যদি তোমাদের দলে নাও খেলায়”



তবে বেশি কিছু আর বলবো না। শুধু এইটুকু বলবো আমার মনে হয় এখনকার প্রজন্ম ওই বন্ধুত্বের স্বাদ আর পাবে না। তোমার কি মত ?  





ছবি: সংগৃহীত




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ