পশ্চিমবঙ্গ স্বেচ্ছাসেবকদের মিলন মেলায় উৎসাহের বন্যা

 বর্ধমান, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ - "মানবতার টানে, মানবতার স্রোতে, প্রাণের মেলায় পশ্চিমবঙ্গ স্বেচ্ছাসেবীদের মিলন মেলা"র প্রথম বর্ষের আয়োজন করা হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহরের একটি স্কুলে। এই মিলন মেলায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেছিলেন।

মিলন মেলার শুরুতে স্বেচ্ছাসেবকরা পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। পদযাত্রা শেষে তারা মিলন মেলার স্থানে পৌঁছান। সেখানে তাদের রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এরপর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। মূল অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা হয়। আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা, স্বেচ্ছাসেবকতা এবং মানবতার কাজ।

মিলন মেলার সবচেয়ে আনন্দের অংশ ছিল খাওয়া-দাওয়ার সময়। স্বেচ্ছাসেবকরা সবাই মিলে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করেন। এরপর একে অপরকে খাওয়ান। এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি।

মিলন মেলার শেষে স্বেচ্ছাসেবকরা সবাই মিলে CPR প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। CPR প্রশিক্ষণ আমাদের জীবন বাঁচানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মিলন মেলার শেষে স্বেচ্ছাসেবকরা খুবই আনন্দিত ছিলেন। তারা মনে মনে ভাবছিলেন, এই মিলন মেলার মতো আরও অনেক মিলন মেলা হোক। যেখানে স্বেচ্ছাসেবকরা একসাথে মিলিত হয়ে মানবতার কাজের জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে।

এক স্বেচ্ছাসেবকের অভিজ্ঞতা

মিলন মেলায় অংশগ্রহণকারী একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেন, "আমি নিজে একজন স্বেচ্ছাসেবক। এই মিলন মেলায় আমিও অংশগ্রহণ করেছিলাম। মিলন মেলার প্রতিটি মুহূর্ত আমার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল।

মিলন মেলায় আসার আগে আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম। আমি ভাবছিলাম, এত স্বেচ্ছাসেবককে একসাথে দেখতে পাব, তাদের সাথে কথা বলতে পারব, তাদের অভিজ্ঞতা শোনার সুযোগ পাব। আমার এই আশা পূরণ হয়েছিল।

মিলন মেলায় আসার পর আমি প্রথমেই স্বেচ্ছাসেবকদের পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করি। পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করে আমি সবার সাথে পরিচিত হতে পারলাম। আমরা সবাই মিলে গান গাইছিলাম, গল্প করছিলাম। পদযাত্রা শেষে আমরা মিলন মেলার স্থানে পৌঁছাই।

মিলন মেলার স্থানে পৌঁছানোর পর আমরা রেজিস্ট্রেশন করি। রেজিস্ট্রেশন শেষে আমরা মূল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। মূল অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা হয়েছিল। আলোচনায় অংশগ্রহণ করে আমি অনেক কিছু শিখতে পারলাম।

মিলন মেলার সবচেয়ে আনন্দের অংশ ছিল খাওয়া-দাওয়ার সময়। আমরা সবাই মিলে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করি। এরপর একে অপরকে খাওয়াই। এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি।

মিলন মেলার শেষে আমরা সবাই মিলে CPR প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। CPR প্রশিক্ষণ আমাদের জীবন বাঁচানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মিলন মেলার শেষে আমি খুবই আনন্দিত ছিলাম। আমি মনে মনে ভাবছিলাম, এই মিলন মেলার মতো আরও অনেক মিলন মেলা হোক। যেখানে স্বেচ্ছাসেবকরা একসাথে মিলিত হয়ে মানবতার কাজের জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে।"

উপসংহার

পশ্চিমবঙ্গ স্বেচ্ছাসেবকদের মিলন মেলা একটি সফল উদ্যোগ। এই মিলন মেলা স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এই মিলন মেলার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকরা একে অপরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন এবং একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারবেন।

মিলন মেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক

  • মিলন মেলায় বিভিন্ন জেলা থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। এতে করে তারা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পারলেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারলেন।
  • মিলন মেলায় বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা হয়েছিল। এতে করে স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারলেন।
  • মিলন মেলায় CPR প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ যা আমাদের জীবন বাঁচাতে পারে।

মিলন মেলার কিছু সুফল

  • মিলন মেলায় স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের কাজের জন্য নতুন নতুন ধারণা ও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।
  • স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে মানবতার প্রতি আগ্রহ ও উৎসাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।




যদি  কোনো  ভুল বা অসম্পূর্ণ  তথ্য  থাকে তবে আমাদের জানান। 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ