ব্রিজের কাছে এক অদ্ভুত রাত
কলকাতার প্রাণকেন্দ্র হাওড়ার ব্রিজ। আমরা প্রতিদিন হেঁটে যাই, গাড়ি চালাই, ছবি তুলি—কিন্তু যদি বলি এই ব্রিজ তৈরির সময় ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা আজও অজানা রয়ে গেছে?
সেদিন মাঝরাতে আমি ব্রিজের পিলারের নিচে বসেছিলাম। হঠাৎ হাওয়া থেমে গেল, গঙ্গার জল অস্বাভাবিকভাবে স্থির। আর চোখের সামনে সময় যেন থমকে দাঁড়াল।
সময় ভ্রমণের ঝাঁপ
এক মুহূর্তেই আমি চলে গেলাম ১৯৩৬ সালে। হাওড়ার ব্রিজ তখনও নির্মাণাধীন। বিশাল লোহার বিম আকাশ ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইংরেজ ইঞ্জিনিয়াররা ব্যস্ত, আর ভারতীয় শ্রমিকরা রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে কাজ করছে।
হঠাৎ কুয়াশার ভেতর থেকে দেখা দিল এক অদ্ভুত মানুষ। তার শরীর যেন ছায়ার তৈরি, চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছে। আমি বুঝলাম—ওটা মানুষ নয়, অন্য কিছু।
রহস্যময় মানুষ
সে ফিসফিস করে বলল—
“এই ব্রিজ শুধু ইস্পাতের কাঠামো নয়। এর ভেতরে লুকোনো আছে শহরের ভাগ্য। যদি ব্রিজ ভেঙে পড়ে, কলকাতা ধ্বংস হবে।”
আমি কেঁপে উঠলাম। সে আবার বলল—
“প্রতি শতকে একবার আমি এই ব্রিজ পাহারা দিই। তোমাদের ভবিষ্যৎ আমার চোখে স্পষ্ট। কিন্তু সাবধান, মানুষ যত বেশি লোভী হবে, এই ব্রিজ তত বিপদ ডেকে আনবে।”
গোপন আচার
আমি দূর থেকে দেখলাম, কয়েকজন শ্রমিক রাতে ব্রিজের এক পিলারের নিচে ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে কিছু অদ্ভুত আচার করছে। মনে হচ্ছিল, তারা ছায়ামূর্তির নির্দেশেই ব্রিজের ভিত্তি শক্তিশালী করার জন্য গোপন পূজা করছে।
হঠাৎ প্রবল ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করল। চারিদিকে লোহার টুকরো উড়ছে, কুয়াশা ঘনীভূত হচ্ছে। চোখ বন্ধ করার আগেই সব অন্ধকার হয়ে গেল।
ডায়েরির চতুর্থ খণ্ড
চোখ খুলে দেখি আমি আবার বর্তমানের হাওড়ার ব্রিজের নিচে। কিন্তু টেবিলে ফের সেই ডায়েরি, এবার লেখা—
“সময় ভ্রমণকারীর ডায়েরি, চতুর্থ খণ্ড — হাওড়ার ব্রিজের ছায়া”
💡 পাঠকের জন্য প্রশ্ন:
👉 তুমি কি বিশ্বাস করো, হাওড়ার ব্রিজের নিচে সত্যিই কোনো গোপন শক্তি পাহারা দেয়?
👉 নাকি সবটাই কুসংস্কার আর কল্পনা?
📌 পরের অধ্যায় : “মার্কিন কনস্যুলেটের গুপ্তচর আর বাংলার গোপন মিশন” — যেখানে আমি সময় ভ্রমণ করে পৌঁছে যাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, আর আবিষ্কার করি কলকাতা ছিল এক আন্তর্জাতিক গুপ্তচর যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু!
0 মন্তব্যসমূহ
Comment