মেঘলা দুপুরের রহস্য
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল—কলকাতার গর্ব, রাজকীয় সৌন্দর্যের প্রতীক। লাখো মানুষ প্রতিদিন এখানে ভ্রমণ করে, ছবি তোলে। কিন্তু এই বিশাল সাদা মার্বেল প্রাসাদের ভেতর লুকিয়ে আছে এমন কিছু, যা সাধারণ চোখে ধরা পড়ে না।
সেদিন দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টি নামল। আমি ভিক্টোরিয়ার ভেতরে একা হাঁটছিলাম। হঠাৎ নজরে পড়ল—একটা পুরনো দরজা, যেটা সবসময় বন্ধ থাকে। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, দরজাটা নিজে থেকেই কঁকিয়ে খুলে গেল।
গোপন কক্ষের প্রবেশদ্বার
আমি ভেতরে ঢুকে পড়লাম। সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে টর্চ জ্বালালাম। নিচে নামতেই দেখি এক বিশাল কক্ষ, চারিদিকে বই, নথি, মানচিত্র, আর পুরনো বাক্স।
মাঝখানে একটা টেবিল, তার ওপর লাল মখমলের কাপড়, আর তার ভেতরে লোহার সিন্দুক। সিন্দুকের গায়ে লেখা—
“For Her Majesty Only”
গোপন নথি
কৌতূহলে আমি সিন্দুক খুললাম। ভেতরে পুরনো কাগজের স্তূপ। পড়তে গিয়ে রক্ত হিম হয়ে গেল—
👉 সেখানে লেখা ছিল ভারতের স্বাধীনতার সম্ভাব্য সময়সূচি!
👉 আরেক কাগজে লেখা ছিল, “If India becomes free, Bengal must be divided.”
আমি বুঝলাম—বাংলা বিভাজনের ষড়যন্ত্র হয়তো বহু আগে থেকেই গোপনে লেখা ছিল!
রহস্যময় প্রহরী
ঠিক তখনই কক্ষের অন্ধকারে একটা ছায়া নড়ল। উঁচু, গাঢ় কালো পোশাকে একজন দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখে আগুনের মতো দৃষ্টি।
সে বলল—
“তুমি এখানে থাকার যোগ্য নও। ইতিহাস যেটা লুকিয়ে রেখেছে, সেটা প্রকাশ পেলে সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়ে যাবে। ফিরে যাও।”
আমি ভয় পেয়ে ছুটতে লাগলাম। সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই আবার সব অন্ধকার হয়ে গেল।
ডায়েরির সপ্তম খণ্ড
বর্তমানে ফিরে এসে দেখি, টেবিলে ডায়েরির নতুন লেখা—
“সময় ভ্রমণকারীর ডায়েরি, সপ্তম খণ্ড — ভিক্টোরিয়ার গোপন কক্ষ”
💡 পাঠকের জন্য প্রশ্ন:
👉 তুমি কি বিশ্বাস করো, সত্যিই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ভেতরে এমন কোনো গোপন কক্ষ আছে, যেখানে লুকিয়ে আছে ব্রিটিশ আমলের রহস্য?
👉 যদি সত্যিই থাকে, তবে সেটা আজও কেন প্রকাশ্যে আনা হয়নি?
📌 পরের অধ্যায় : “হাতিবাগানের অভিশপ্ত বাড়ি” — যেখানে আমি সময় ভ্রমণ করে দেখি এক জমিদার পরিবারের অদ্ভুত অভিশাপ, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এখনও ছায়ার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Comment